All Menu

খাদ্য ও জীবিকা সহায়তায় কর্মসূচি চালু করার কর্মপরিকল্পনা গ্ৰহণ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় খাদ্য ও জীবিকা সহায়তায় কর্মসূচি চালু করার কর্মপরিকল্পনা গ্ৰহণ করা করেছে। এ কর্মসূচিটি প্রাথমিকভাবে দেশের ৭৫টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং বিভিন্ন ভাবে অপুষ্টির শিকার।

কর্মসূচিটির আওতায় প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসিক ১০০০ টাকার খাদ্য এবং ২০০০ টাকা জীবিকা সহায়তার জন্য প্রদান করা হবে। তিন বছর মেয়াদে এই কর্মসূচি ৭৫টি উপজেলার ৭৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের তিন বছরে ব্যয় হবে ৮১৯ কোটি টাকা।

বুধবার (১৬অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘বন্যা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় করণীয় বিষয়ক বহুপাক্ষিক আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বন্যা-সহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং স্বোচ্ছাসেবক-সহ সর্বস্তরের মানুষের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। চলতি বছর আগস্টের বন্যা উপদ্রুত এলাকার মানুষের সহায়তায় তরুণ শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনসাধারণ এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা ছিল অভাবনীয়। বর্তমানে ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দূর করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যতো দ্রুত সম্ভব এই জলাবদ্ধতা দূর করে সেখানে জীবন জীবিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্‌। ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মোঃ লিয়াকত আলী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান এনডিসি, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আহমেদ উল্লাহ এফসিএমএ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ঢাকা বিভাগ) তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শরীফ হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জিকরুল হাসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এহতেশামুল রাসেল খান, ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স-এর উর্ধ্বতন পরিচালক অরিঞ্জয় ধর প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top