মেয়ের জামাই (বর্তমানে জেল হাজতে) আবুল কালাম (৪৫), তার বোন নাজমিন বেগম (২৫), আফিয়া বেগম (২৭), শাফিয়া বেগম (৩০) ও মা- ফতেমা বেগম (৬০)সহ অন্যান্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক-মানসিক, মারধর, নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্বশুর আতাউর রহমান (৬০)। সোমবার (০৭ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) দুপুরে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জানান- সুমি বেগম-এর সাথে প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় ২নং পতনউষার ইউনিয়নের ইছমত উল্লাহর ছেলে আবুল কালাম এর। বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক-মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হতো। মেয়ের ১৩ বছরের ছেলে ও ৫ বছরের মেয়েসহ পরিবারের সুখের চিন্তা করে এ সব বিষয় তিনি মুখ বুঝে সহ্য করতেন। কিন্তু তবুও নির্যাতন বন্ধ হয় নি। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ মেয়েকে মারধরের খবর পেয়ে তিনি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শেষে গত বাড়ীতে আসার পর সে মুঠোফোনে মারধর ও নির্যাতনের বিষয়টি অবগত হয়ে মেয়েকে দেখতে তার শ্বশুরবাড়ি যাওয়া মাত্র মেয়ের জামাই, তার মা-বোনসহ অন্যান্যরা আমাদেরকে মারধর করে জখম করে। মারধরের পর আতাউর রহমান চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘটনাটি কমলগঞ্জ থানার পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হামলার সাথে জড়িত মেয়ের জামাই আবুল কালাম-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। মেয়ের শাশুড়ি ফতেমা বেগমসহ তাদের সহযোগীরা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান, অপপ্রচার করে সামাজিক ভাবে সম্মান ক্ষুণ্ণ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন আতাউর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে মেয়ে সুমি বেগম, তার ছেলে রাফি আহমদ, তার কন্যাসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।