All Menu

স্মার্ট এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি হবে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী

চট্টগ্রাম, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরকে আলোকিত করতে স্থাপন হতে যাওয়া স্মার্ট এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি হবে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীই নয়, এই বাতি স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা খরচও ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে৷ মন্ত্রী শনিবার (৬ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে আলোকিত করতে ভারতের সহায়তায় ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে নগরীর রেডিসন ব্লু’তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ‘স্মার্ট লাইটিং- দ্য ফাউন্ডেশন অভ্‌ ফিউচার স্মার্ট চট্টগ্রাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক এবং পথচারীদের জন্য কার্যকর ও টেকসই সড়ক বাতির আলোক সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে। রাত্রিকালীন শহরের সৌন্দর্য, ব্যবসায়িক সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে কমবে কার্বন নির্গমন। এছাড়া শক্তি শোষণ সম্পর্কিত পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাফিক ও পথচারীর জন্য রাস্তায় আলোর সুবিধা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সড়ক বাতির আলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৬০ কিঃ মিঃ সড়কের আলোকায়ন হতে যাচ্ছে, যা পরিবেশবান্ধব, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, টেকসই ও কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার টোকেন অফ ফ্রেন্ডশিপ হিসেবে কাজ করবে এ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধবভাবে চট্টগ্রামকে আলোকিত করা সম্ভব হবে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী যোগ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে ভারত। ভারতের সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসী আলোকিত চট্টগ্রাম পাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে এ প্রকল্প।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রকল্পের সফলতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম, বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top