All Menu

বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ৯ জুন ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৪’ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘Accreditation: Empowering Tomorrow and Shaping the Future’ যা সময়োপযোগী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে পরিপূরক বলে আমি মনে করি ।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে সমন্বিত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে আমাদের জীবনযাত্রা, কাজ ও পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত মৌলিক পরিবর্তন সংঘটিত হচ্ছে। সামগ্রিক উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা এবং সুশাসনের ওপর এর প্রভাব ব্যাপক, বিস্তৃত, গভীর ও সুদূরপ্রসারী। সারাবিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক টেকনোলজির ব্যবহার উৎপাদনে ব্যাপক প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এনেছে। ফলে একদিকে নতুন সম্ভাবনা এবং অন্যদিকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিগত সুবিধাকে ধারণ করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা, খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং উৎপাদিত সেবা ও পণ্যের উৎকর্ষ সাধনে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিএবি সরবরাহ শৃঙ্খলের সকল পর্যায়ে দেশীয় পণ্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, কারিগরি ক্ষেত্রভিত্তিক দক্ষ জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণে সহায়তা এবং জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। বিএবি ইতোমধ্যে বিদ্যমান এ্যাক্রেডিটেশন স্কিমের আওতায় ১৪১টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সাযুজ্য নিরূপণকারী সংস্থা (ল্যাবরেটরি, মেডিকেল/ডায়গনষ্টিক ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থা) কে আন্তর্জাতিক মান এবং গাইডলাইনস অনুসারে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশব্যাপী শিল্পখাতের কার্যকর বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে গত এক দশকে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সমন্বিত করেছে। টেকসই শিল্পায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া, সরকার পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ গঠনের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে। আমি আশা করি, স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে বিএবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমি ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৪’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top