ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া, দেশের জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারলেই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের আহ্বান স্বার্থক হবে৷
‘মাই হেলথ্, মাই রাইট অর্থাৎ স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শনিবার (০৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, একটি জাতির সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতি নির্ভর করে জনস্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নয়নের ওপর। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার সুফল ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। ডা. সামন্ত লাল সেন দৃঢ়ভাবে তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিপাদ্য তখনই স্বার্থক হবে যদি ডাক্তার, নার্স, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ হাসপাতালে কর্মরত অন্যান্য সদস্যরা একসাথে কাজ করেন৷ তিনি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে সকল স্তরের জনসাধারণকে স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ হবার আহ্বান জানান। স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে সচিব মো. আজিজুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্ডান জাং রানা, স্বাচিপ সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ৷
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।