কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দু’দিনব্যাপী মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই-কমিশন, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার টেলরস ইউনিভার্সিটির (Taylor’s University) স্কুল অভ্ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর সহযোগিতায় ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুভাষিকতার প্রসার’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উদযাপিত হয়। খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্র্যান্ড হলে’ আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা, প্যানেল আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং নয়টি দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে হাই-কমিশন প্রাঙ্গণে প্রভাতফেরির মাধ্যমে হাইকমিশনের অস্থায়ী শহিদ মিনারের বেদিতে হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। দিবসের মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদ্যাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাসহ শহিদদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা সভায় সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস, বাংলাদেশ-এর পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং ইউনেস্কো আঞ্চলিক অফিস, জাকার্তা-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া (Maki Katsuno-Hayashikawa) –এর ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন টেলরস ইউনিভার্সিটির স্কুল অভ্ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর বিভাগীয় প্রধান-প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত (Dr. Anindita Dasgupta)। এই পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নয়টি দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, রাশিয়া, সুদান, তানজানিয়া, নেপাল এবং বাংলাদেশ হাই-কমিশন পরিবারের সদস্যগণ এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বিমোহিত করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।