আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা থেকে নিখোঁজ হওয়ার দশ দিন পর ৮ বছরের কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া নিহত কন্যা শিশু মোঃ আহসান আলীর মেয়ে আতিকা (৮)। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বিকেল ৪ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পরে না পেয়ে থানায় ডায়রি করেন তাঁর বাবা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রাতে এশার নামাজের পরে উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের মধ্য খরকপুর (কুইচাটোলা) গ্রামে নিখোঁজ কন্যা শিশুর বাড়ি থেকে দক্ষিণে ৪ টা বাড়ি পর বিধবা বৃদ্ধা হিরুর বাড়ির পিছনে বস্তা দেখতে পায় তার মেয়ে সেতারা। তিনি জানান, এশার নামাজের সময় আমার ছোট নাতনীকে নিয়ে বাড়ির পিছনে যাই। এ সময় টর্চ লাইট জ্বালালে গাছে হেলান দেয়া একটা সাদা রঙের বস্তা দেখে আশ-পাশের লোকজনকে খবর দিলে সবাই ছুটে আসে। শিশুটির বাবা মোঃ আহসান আলী বলেন, আমার ৮ বছরের মেয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নিখোঁজ হলে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আমি বাজার থেকে বাড়ি আসলে লোকজন আমাকে একটি বস্তা দেখতে ডাকে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বস্তা দেখতে পাই। তিনি বলেন, আমার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার সময় যে সোয়েটার পড়ে ছিল তা বস্তার ছেঁড়া অংশ দিয়ে দেখতে পাই। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই। দলদলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মোঃ মোজ্জামেল হক চুটু বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার বলেন, বাচ্চাটির বয়স ও গায়ের পোশাক দেখে মনে হচ্ছে সেই (আতিকা) নিখোঁজ বাচ্চাটির লাশ। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে পুলিশ। কন্যা শিশুটির হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর পিতা মাতা ও এলাকাবাসী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।