All Menu

টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) গড়ে তুলার বিকল্প নাই। স্মার্ট টেশিস এর জন্য স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে। আয় বৃদ্ধি এবং অপচয় কমিয়ে আয়-ব্যয় এ দু’য়ের ভারসাম্য রেখে সংশ্লিষ্টদের প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করতে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার (২২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) লিমিটেড-এর দোয়েল ল্যাপটপ, টেলিফোন সেট, বৈদ্যুতিক স্মার্ট মিটার অ্যাসেম্বল প্লান্টসহ টেশিসের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা প্রদান করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী টেশিসকে গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অপারেশন, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, বিক্রয় পরবর্তী সেবা এসব জায়গাসমূহে উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ২০১১ সালে দোয়েল ল্যাপটপ যাত্রা শুরু করেছিলো কিন্তু পরিতাপের বিষয় তা সাফল্যজনকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। মেড ইন বাংলাদেশ পণ্য দেশে এবং দেশের বাইরে রপ্তানি করতে টেশিস ব্যর্থ হলো। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৯৪টি কম্পোনেন্টের ওপর ইমপোর্ট ডিউটি কমিয়ে দেওয়ায় ১৭টি মোবাইল ফোন কারখানা বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে। ল্যাপটপ কারখানা হয়েছে এবং ভালো করছে। জুনাইদ আহমেদ টেশিসকে লাভজনক অবস্থায় উন্নীত করার কৌশল তুলে ধরে বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটে আমরা রাজস্ব বাড়াতে চাই, অপচয় কমাতে চাই। আগামী পাঁচ মাসে আয় বাড়াতে পারলে আমরা লাভে যাব। আয় বাড়াতে না পারলে ব্যয় কমাতে হবে। বঙ্গবন্ধু আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করে গেছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল টেলিফোন শিল্প সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর মেধাবী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আইসিটি সেক্টর থেকে রপ্তানি আয় করেছে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। আইসিটি পেশায় ২০ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছি। ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে যুক্ত করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানের ৪টি মূল ভিত্তি ইতোমধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই তুলে ধরেছেন। আমাদের স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলতে হবে। আমরা তিনটি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেটি হচ্ছে আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এর আগে প্রতিমন্ত্রী টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) লিমিটেড-এর দোয়েল ল্যাপটপ, টেলিফোন সেট, বৈদ্যুতিক স্মার্ট মিটার অ্যাসেম্বল প্লান্টসহ টেশিসের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। তিনি টেশিস এর বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। মন্ত্রী কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top