ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সোমবার জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বস্ত্র মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম উপাদান ও বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ বস্ত্রশিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে বস্ত্র খাত কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। প্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি। বস্ত্র খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে সরকারের নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ‘বস্ত্ৰনীতি, ২০১৭’, বস্ত্র আইন, ২০১৮, এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্রের মাধ্যমে বস্ত্রশিল্প ও বায়িং হাউজের উদ্যোক্তাগণকে নিবন্ধনসহ নানাবিধ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বস্ত্র খাতে দক্ষ মানব সম্পদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। করোনাকালেও গার্মেন্টস শিল্পের সংকট মোকাবিলায় প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে কল্যাণ তহবিল গঠন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। তাঁত শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেও এর আধুনিকায়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী ও পরিবেশবান্ধব টেকসই বস্ত্রশিল্প স্থাপন, বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক এবং মিরপুরের বেনারসি শিল্প আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এসকল ঐতিহ্যবাহী বিশেষায়িত পণ্যের প্রসার বেগবান করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।