ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত ‘পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফুট) প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফুট) প্রকল্প’ যা ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পায়। উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ ঘটাবে পূর্বাচলের ১২.৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে। এই প্রকল্পটিতে কুড়িল হতে বালু নদী পর্যন্ত ৫.৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৮ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেন বিশিষ্ট সার্ভিস রোড এবং বালু নদী হতে কাঞ্চন পর্যন্ত ৬.৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেন বিশিষ্ট সার্ভিস রোড রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কুড়িল হতে কাঞ্চন পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৫টি এ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় কুড়িল হতে কাঞ্চন পর্যন্ত সড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া কুড়িল হতে কাঞ্চন পর্যন্ত ১২.৩০ কিলোমিটার সড়ক ও খালের উভয় পাশের্¡ ৩ মিটার প্রশস্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও সম্পন্ন করা হবে। রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রশস্ত এক্সপ্রেসওয়ের দু’পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খননের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা গতিশীল হবে। এছাড়া এই প্রকল্পে কুড়িল হতে বালু নদী পর্যন্ত খালের উভয় পাশের্¡ উত্তর দক্ষিণ বরাবর ১৩টি ব্রীজ ওভার ক্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সড়কে ৯টি লাইনে ও গ্রীন জোনে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১.৫০ লক্ষ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। আশা করা যায় যে, আকর্ষণীয় পরিবেশের কারণে এটি হবে সৌন্দর্য্য ও ভ্রমণ পিপাসুদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বর্ষা মৌসুমে কুড়িল, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকাসমূহের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান অনুযায়ী ডুমনী, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল বহমান রাখা ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক ও কুড়িল হতে কাঞ্চন পর্যন্ত অবস্থিত আশপাশের এলাকাসমূহের নগরায়নের কথা চিন্তা করে বিদ্যমান রাস্তার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি ট্রাফিক চলাচল নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ব্রীজ ও এ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন তৈরি করা এবং খালসমূহের সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখাও এই প্রকল্পের বিশেষ উদ্দেশ্য। পাশাপাশি প্রকল্পটি নগরীর সৌন্দর্য্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।