মোঃ আতিকুর রহমান, প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার (১লা নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রি সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিপিসি লিঃ এর যৌথ উদ্যোগে (৫০:৫০) প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিঃ (বিআইএফপিসিএল) এর মাধ্যমে ২x৬৬০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প ব্যয় প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রকল্পের Debt equity ratio ৮০:২০। প্রকল্পের অর্থায়নকারী (ঋণদাতা) প্রতিষ্ঠান ভারত এক্সিম ব্যাংক। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিঃ (BHEL)-এর সাথে ইপিসি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ইউনিট-১ এর Commercial Operation Date (COD) অর্জিত হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটে পূর্ণ লোড অপারেশন অর্জিত হয়েছে গত ২৪ অক্টোবর ২০২৩। উদ্বোধন শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা সুসংহত করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যান্য ব্যয়বহুল জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে। প্রকল্পটি বাংলাদেশের Grid Stability নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সাশ্রয়ী, মানসম্পন্ন এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় ১ লাখ ১৬ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আশপাশের এলাকায় পরিবেশ সংক্রান্ত Parameter সারা বছর মনিটর করার জন্য CEGIS নামক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত প্রতি ইউনিটে তিন পয়সা হিসেবে লেভী ধার্য করে উক্ত অর্থ দিয়ে একটি উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে, যা প্রকল্প এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।