All Menu

কটূক্তি করায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনিকে নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তির অভিযোগে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ওটারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শাহ মাজেদ হোসেন রনি। তিনি কবিরহাট উপজেলার ওটারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক। সোমবার (১৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন কবিরহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত রায়। তিনি বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি আজ বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। বিদ্যালয় থেকে ফিরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা সুলতানাকে তিনি বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেব নাথ কে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওটারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মমিনুল হক জানান, গত ১৭ জুন শনিবার দুপুরের দিকে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে বর্তমান-সাবেক শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এর আগে,গত ১৪ জুন বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক রনি নিজের ফেইসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে দাবি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।(নং-৭৪১) রনি একজন ভালো শিক্ষক বলেও তিনি দাবি করেন। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৪-৫ দিন আগে ওটারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক শাহ মাজেদ হোসেন রনি শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনিকে কটাক্ষ করে নিজের ফেইসবুক আইডিতে লিখেন আবারো ইনিয়ে বিনিয়ে গবেষণামূলক সেই রাজনৈতিক প্যাঁচমারা বিবৃতি।শেষ পর্যন্ত শিক্ষার সিজার করেই ছাড়ল ডা: থেকে ঘটনাচক্রে হওয়া অর্থব শিক্ষামন্ত্রী। এর আগে, গত বছরের ১৫ অক্টোবর ছাত্রীর সাথে অশ্লীল আচরণ ও ইভ-টিজিংয়ের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন রনির বিরুদ্ধে। পরে ওই ঘটনায় তিনি ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান। প্রধান শিক্ষক মো.মমিনুল হক আরও জানান, সোমবার দুপুরের দিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক রনিকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। বাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.জসিম উদ্দিন শাহিন বলেন,শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনিকে নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তি করেছেন শিক্ষক রনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রীকে কটূক্তির ঘটনায় তিনি এই শিক্ষকের তদন্ত পূর্বক শাস্তি দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক শাহ মাজেদ হোসেন রনি অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমি ছাত্রছাত্রীদের ভালোর জন্য বিদ্যালয়ের পড়ালেখায় একটু কড়াকড়ি আরোপ করি। এটি হয়তো অনেক ছাত্রছাত্রীর ভালো লাগেনা। এজন্য কিছু শিক্ষার্থী বাহিরের কিছু লোকের প্ররোচনায় এই মিথ্যাচার চালাচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা সুলতানা বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top