All Menu

নজরুলের বিদ্রোহী কবিতাকে ইউনেস্কো’র ডকুমেন্টারি হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর সৃষ্টি ‘বিদ্রোহী’ কবিতা। তাঁর বিখ্যাত ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাকে ইউনেস্কো’র ডকুমেন্টারি হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো’র ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, একই প্রক্রিয়ায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ইউনেস্কোতে পাঠানো হবে। প্রতিমন্ত্রী রবিবার রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। আর এর পরদিন ২৫মে ছিল কবির জন্মদিন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী বছর ২৪ মে থেকে নজরুল জন্মজয়ন্তীর জাতীয় অনুষ্ঠান শুরু করা হবে, যা ২৭ মে পর্যন্ত চলবে। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভায় মুখ্য আলোচক হিসাবে হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. হামিদুর রহমান, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও কবিপৌত্রী খিলখিল কাজী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সচিব (উপসচিব) মোঃ রায়হান কাওছার। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে আরো গবেষণামূলক ও বিশ্লেষণধর্মী বই রচনায় আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত। বিশেষ করে নজরুল কোথায় কী লিখেছেন এবং বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ রচনার জন্য নজরুল গবেষকদের আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, নজরুলের সৃজনকর্ম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নজরুলের সাহিত্যকর্ম ইংরেজি ও আরবিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় যথাশীঘ্র এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীবৃন্দ সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top