ময়মনসিংহ ব্যুরো, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে রেখে যাওয়া সেই দেড় বছরের দুধের শিশুর বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে শিশুটির জন্মদাত্রীর নজরে এলে অবশেষে ঘটনার দুইদিন পর শিশুটি ফিরতে পেরেছে মা তাসলিমা আক্তারের (২০) কোলে। রবিবার (৯ এপ্রিল )দুপুরে তারাকান্দা থানায় মা তাসলিমা আক্তারের হাতে শিশুটিকে তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের। তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ‘শিশুর মা তাসলিমা তারাকান্দা সদর ইউনিয়নের নলদিগি গ্রামের মৃত নুর ইসলামের মেয়ে। পারিবারিক-ভাবে একই উপজেলার ভুগলি গ্রামের শাহ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের সংসারে নুর তামজিদ নামের একটি ছেলেসন্তান হয়।’ ওই সন্তান জন্মের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। কলহের কারণে তাসলিমা তাঁর বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক বয়স্ক চাচির কাছে ছেলে নুর তামজিদকে রেখে ঢাকায় চাকরি করতে যান। তাসলিমা তাঁর চাচিকে ঈদে বাড়িতে এসে কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলে যান।’ এদিকে বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) রাতে তারাকান্দা উপজেলার গালাগাঁও ইউনিয়নের ধারাকান্দী গ্রামের দিনমজুর সায়েদুল ইসলামের বাড়িতে অসহায়ত্বের কথা বলে ছেলে-শিশুকে নিয়ে আশ্রয় নেন ওই চাচি। এ সময় তিনি নাম-পরিচয় দেননি। পরদিন শুক্রবার (০৮ এপ্রিল)দুপুরে শিশুটিকে সায়েদুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের কাছে ফেলে উধাও হন তিনি। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে স্থানীয়রা পুলিশে জানান। ওই ঘটনায় ছেলে-শিশুকে রেখে মা উধাও হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা থেকে তাসলিমা তাঁর সন্তান হারানোর বিষয়টি জানতে পারেন। পরে রবিবার তারাকান্দা থানায় উপস্থিত হয়ে ওই শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করেন তিনি। পরে পুলিশ যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে শিশুটিকে তাসলিমার হাতে তুলে দেয়। ওসি আবুল খায়ের বলেন, ‘তাসলিমার চাচির বয়স বেশি। তাই ভুল করে হয়তো তিনি এমনটি করেছেন।’ ওই চাচির নাম প্রকাশ করেননি ওসি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।