All Menu

নূর এ আলম সিদ্দিকীর প্রথম জানাজা ঝিনাইদহে সম্পন্ন

হেলালী ফেরদৌসী, নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধু’র চার খলিফার অন্যতম সদস্য তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর-এ-আলম সিদ্দিকীর প্রথম জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার জোহরের নামাজের পর ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ ২ আসনের সাংসদ ও নূর –এ-আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান,জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি এড. এম এ মজিদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম হারুন-অর-রশিদ, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সর্বেস্তরের কর্মকর্তা । এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর এ আলম সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রীয় ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।সদ্য প্রয়াত এই বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাজার নামাজ জোহর বাদ থাকলেও এর আগেই হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে এসে জোড় হয়।জানাজার পরই তার লাশ-বাহী হেলিকপ্টার ঝিনাইদহ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়াম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর এ আলম সিদ্দিকীর মৃত্যু হয়। নূর এ আলম সিদ্দিকী ১৯৪০ সালের ২৬ মে যশোরের ঝিনাইদহ মহকুমায় (ঝিনাইদহ শহরের সার্কিট হাউজ পাড়া) জন্মগ্রহণ করেন। এরপর নূর-এ- আলম সিদ্দিকী ৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই সময় স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কও নির্বাচিত হন নূরে আলম সিদ্দিকী। দেশ স্বাধীনের পরে তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসনে পরাজিত হয়েছিলেন। নূর-এ-আলম সিদ্দিকীর বড় ছেলে সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, আমার বাবাকে আপনারা মাফ করে দেবেন । তিনি যদি কোনও অন্যায় করেন, তাকে ক্ষমা করবেন ।হে আল্লাহ, আপনি আমার পিতাকে কবুল করুন । ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে, গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাবার প্রতিষ্ঠিত নবী টেক্সটাইল ও ডরিন গার্মেন্টসের কাছে মসজিদের পাশে দাফন করা হবে। এটা আমার বাবার অন্তিম ইচ্ছা ছিলো। তার মৃত্যুতে ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top