All Menu

হালাল সার্টিফিকেশন অথরিটি গঠনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশে ব্যাবসা-বাণিজ্য প্রসারে ব্যবসায়ীদের সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সময়োপযোগী পলিসি সাপোর্ট দিয়ে ব্যবসার গতি বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশের রপ্তানির সিংহভাগ দখল করে আছে তৈরিপোশাক খাত। এর পাশাপাশি পাট-পাটজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রো প্রোডাক্টস, প্লাস্টিক প্রোডাক্টস এবং সার্ভিস সেক্টর রপ্তানি বৃদ্ধিতে খুবই সম্ভাবনাময়। মন্ত্রী রবিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে হল অভ্ ফেমে এফবিসিসিআই আয়োজিত চলমান বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ ‘বাংলাদেশ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিস ইন কি সেক্টরস ফর ইনভেস্টর্স টু লিভারেজ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গেষ্ট অভ্ অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে রপ্তানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান, ভ্যাট ও ট্যাক্সে সুবিধা প্রদান, শিল্পের কাঁচামাল এবং ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিতে ট্যাক্স সুবিধা প্রদান, ব্যাংকিং অগ্রাধিকার ও সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বিশ্বে হালাল পণ্যের একটি বড় বাজার রয়েছে। এ বাজারে আমাদের হালার পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা রয়েছে। হালাল পণ্যের সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য একটি অথরিটি গঠনের কাজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুরু করেছে। হালাল সার্টিফিকেশন অথরিটি গঠন করা হলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কয়েকটির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ গ্রিন ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হয়েছে। নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য শ্রেষ্ঠ স্থান। প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে বিষয়ের ওপর কি নোট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সেমিনারে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং হামিম গ্রুপের এমডি এ কে আজাদ, ইয়াং ওয়ান করপোরেশনের সিইও কি-হাক সাং, মারুবেনি করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও মাসুমি কাকিনোকি, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রোমশন অথরিটি’র ডিজি জং ওন কিম এবং কমনওয়েল্থ এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল এর চিফ এক্সিকিউটিভ রোসি গ্লাজিব্রোক। পরে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারের মিডিয়া মেলায় এফবিসিসিআই আয়োজিত চলমান বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ ‘কনজিউমার গুডস লিভারাইজিং গ্রোয়িং মিডিল এন্ড এফ্লোয়েন্ট ক্লাস ফর এ ভাইব্রান্ট কনজিউমার গুড সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top