All Menu

প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত ভাঙ্গন কবলিত মানুষের খোজ খবর নিচ্ছেন

ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদী ভাঙ্গন রোধে সরাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আগাম ব্যবস্থায় প্রস্তুতকৃত জিও ব্যাগ ভাঙ্গন রোধে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ষার পরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে ভাঙ্গনের হাত থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষার পরিকল্পনা পরবর্তী দ্রুততর সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত ভাঙ্গন কবলিত মানুষের খোজ খবর নিচ্ছেন। নদী ভাঙ্গন রোধে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সব দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে আছে এবং সবসময় পাশে থাকবে। জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে সবাইকে নদী এবং এর পানির প্রতি যেমন যত্মবান হতে হবে; তেমনি নদীর তীঁর রক্ষা বাধেঁরও যত্ন ও রক্ষার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর বামতীরে চরকাটারি ও সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলায় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন; সরকার নদী রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও কার্যকর উদ্যোগের কারনে বাংলাদেশের মানুষ পূর্বের চেয়ে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে অনেক রক্ষা পেয়েছে। বর্তমান সরকারের পাশাপাশি আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সব সময় দুর্যোগে, বিপদে-আপদে মানবতার পাশে দাড়ায়। একচল্লিশ সালের উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের নদ নদী ও এর তীরবর্তী মানুষকে রক্ষা করতেই হবে। সে লক্ষে সরকার একদিকে যেমন ভাঙ্গন রোধে কাজ করে যাচ্ছে পাশাপাশি যে সকল নদী তার নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে সে সকল নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙন আরও বাড়ছে , যে কোনো মুল্যে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন; বাংলাদেশে ভাঙ্গণ কবলীত বড় নদী গুলো ড্রেজিং করতে হবে। আর সেই বালু দিয়ে নদীর পাড় বেঁধে সেখানে ফসল আবাদ করা হবে,এবং বাধেঁ বৃক্ষ রোপন করা হবে। ভাঙ্গন কবলিতদের সাথে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী,তারা জানান ভাঙনের অন্যতম কারণ হলো, পদ্মা তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে হতে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। এতে করে পানির স্রোতের বেগটা তীরে এসে আঘাত করছে। পদ্মা তীরবর্তি এলাকাকে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচাতে হলে এই অপরিকল্পিত অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে এসব অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। পরিদর্শনকালে টাঙ্গাইল-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ সানোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(উন্নয়ন) মিজানুর রহমান,বাপাউবি (পূর্ব রিজিওন) এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহবুর রহমান; জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়, বাপাউবি এর টাঙ্গাইল এর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মানিকগঞ্জ মোঃ মাঈন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top