ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “এ বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে মহিলাদের জন্য জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটি ১০ থেকে ১৫ বছরের কন্যা শিশুদের শরীরে দেয়া হবে। বর্তমানে মহিলাদের ক্যান্সারে মৃত্যু সব থেকে বেশি জরায়ু ক্যান্সারের কারণেই হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ফলে, দেশে জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে যাবে।” সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘দেশব্যাপী প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে এবং জেলা, উপজেলা হাসপাতালের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করা নিয়ে ব্যাপক উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সভায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ‘ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে দেশের ১৫ লাখ দরিদ্র পরিবারের ৬০ লাখ মানুষের প্রতিজনকে বিনামূল্যে সরকারি ওষুধের বাইরে আরো ৫০ হাজার টাকার ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশে বর্তমানে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিসের মতো কঠিন ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভেজাল খাদ্য, অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল, বায়ু দূষণসহ নানা কারণে এই অসংক্রামক রোগগুলোতে দেশের শতকরা ৬৭ ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে। এই রোগগুলোর চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। এজন্য সরকার অসহায়, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ৬টি জেলাকে এই ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজের আওতায় আনা হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক মিনি পকেট হেলথ গাইড বই দেয়া হয়েছে বলে জানান। দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করতে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে মাসের ৩০ দিন ২৪ ঘণ্টাই প্রদানের ব্যবস্থা চালুর কাজ চলমান আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মোঃ সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ অন্যান্য যুগ্মসচিব ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।