All Menu

আওয়ামী লীগ রাজপথে নামলে অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। আমরা যদি আজকে আমাদের নেতাকর্মীদের সারা দেশে রাজপথে নামার জন্য ঘোষণা দেই তখন অন্য কাউকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাস্তায় পরীক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এ মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘আমরা রাজপথে মল্লযুদ্ধ করতে চাই না, আমরা আমাদের কর্মীদেরকে সংযত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আর বিএনপি তো রাজপথেই আছে এবং রাজপথে থাকতে গিয়ে তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে রাজপথের গাছপালা পর্যন্ত উপড়ে ফেলেছে, পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেছে। আমরা চাই তারা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুক, এতে সরকারের পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই তাদেরকে সহযোগিতা করবে এবং করছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি আসলে চায় একটা সাংঘর্ষিক রাজনীতি। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সংঘর্ষ করা, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ করা, মানুষের সাথে সংঘর্ষ করা। তারা চায় যাতে আরো প্রাণহানি ঘটে। আমি কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেছি, যদিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি কিন্তু অনেকেই বলেছে মুন্সিগঞ্জে যে ছেলেটি মারা গেছে সে তাদেরই ইটের আঘাতে মারা গেছে।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি যখন সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, নিজেরা সমাবেশ পণ্ড করে, যখন পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে, জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করে ভাঙচুর করে, অগ্নিসংযোগ করে তখন জনগণ তাদের প্রতিহত অতীতেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। আর জনগণের সাথে যদি আমাদের নেতাকর্মীরা থাকে বিএনপির তারা আর পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। তাদের এই “খালি কলসি বাজে বেশি” ধরনের হুমকি-ধামকি আমরা প্রায় সাড়ে ১৩ বছর ধরে শুনে আসছি। দেশে শান্তি, স্থিতি রক্ষা সরকারের দায়িত্ব। সেটি বজায় রাখতে সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সেটি অত্যন্ত সংযতভাবে সবসময় করে আসছে।’ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজনীতি সরব হয়ে উঠছে এমন প্রসঙ্গে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অতীতের তুলনায় বেশি সরব হবে, এটিই স্বাভাবিক এবং এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চারই অংশ। সুতরাং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা করে কেউ যদি আন্দোলন করে, সরকারের সমালোচনা করে, সরকারের বিরুদ্ধে বলে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সেটি করতে গিয়ে যদি সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সেখানেই বিপত্তি। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর চলমান যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই সফরটি এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সফল। তার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ হয়েছে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে বৈঠক হয়েছে। অনেক দেশের সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ ও বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২ তারিখ সেখান থেকে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। আসার পর তিনি সবিস্তারে বলবেন, তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অত্যন্ত সফল একটা সফর হচ্ছে এবং এ কারণে যারা বিদেশিদের কাছে বারংবার ধর্ণা দেয় তাদের চেহেরাটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top