মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনস্থ মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর এবং কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত মনু নদী বন্যা প্রতিরোধ ও নদী ভাঙন রোধ কল্পে “মাষ্টার প্রকল্প” এর চলমান কাজকে বেগবান ও গুনগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, প্রকল্প পরিচালক ও প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-বর্গদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার’র তত্ত্বাবধায়ক নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তর কক্ষে অনুষ্ঠিত সভার মুল বিষয়বস্তু ছিল, “মনু নদীর ভাঙন হইতে মৌলভীবাজার জেলা সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা” ও “মাষ্টার প্রকল্প” চলমান কাজের গুনগত মান বজায় রাখা ও কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি করা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মনু নদী প্রকল্প পরিচালক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার’র তত্ত্বাবধায়ক কেএম জহিরুল হক, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী গন, মনু নদী প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, প্রকল্প পরিচালক এবং প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে- প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থ বছর-ওয়ারী প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ে ঘাটতি, ঠিকাদার মহলের ধীরে চলা নীতি এবং প্রকল্প নিয়ে অপ প্রচারণার বেষ্টনীতে ঘুরপাক খাচ্ছে সম্ভাবনাময় এ প্রকল্পটি। বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফুঁসে উঠা মনু-নদীর বাঁধ ভাঙ্গা বন্যা এবং তীর ভাঙ্গার অব্যাহত প্রক্রিয়া থেকে মুক্তির লক্ষ্যে গত ২০২০ সনে প্রণীত হয় মনু নদীর বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্প। ঐ বৎসর একনেক কর্তৃক প্রকল্পটি অনুমোদিত হওয়ার পর তার ব্যয় ধরা হয় ৯৯৬ কোটি ২৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। গত ২০২১ সন থেকে ২০২৩ সনের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার কথা। প্রকল্প ইস্টিমেটে রয়েছে ৩০.২৪০ কিলোমিটার এলাকার বাঁধ পুনর্নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ৬৭টি স্পটে টেকসই সংরক্ষণ এর জন্য প্রায় ৭৬ লক্ষ সি.সি. ব্লক এবং সাড়ে ১১লক্ষ জিও ব্যাগ প্রতি স্থাপন, মৌলভীবাজার শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় আড়াই কিলোমিটার ফ্লাডওয়াল নির্মাণ, ৩ উপজেলায় ৮৬ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ এবং ১২.১৭ কিলোমিটার নদী খনন। বাঁধ নির্মাণ এবং পূনঃ নির্মাণের জন্য তিন উপজেলায় নদী তীরবর্তী ২২৮ একর জমি অধিগ্রহণও প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথা নিয়মে টেন্ডার গ্রহণের ভিত্তিতে ৩৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কর্মসম্পাদনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। যথা নিয়মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো কাজ করতে চাইলেও মূল সমস্যা হচ্ছে অর্থ বরাদ্ধ নিয়ে। ৯৯৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বরাদ্ধ এসেছে ৫৭.৯৮ কোটি টাকা। তার বাহিরে ঠিকাদারদের বকেয়া পাওনা দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি টাকা। জানা গেছে, প্রকল্প খাতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে বরাদ্দ এসেছে ৩কোটি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছে ৫৪.৯৮ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।